বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম চলছে। আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ টিকার দ্বিতীয় বুস্টার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৭১ জন। আর এখন পর্যন্ত এ ডোজের আওতায় এসেছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ জন। দেশব্যাপী প্রথম ডোজের টিকার আওতায় এসেছে ৩৪ হাজার ৭৭ জন। দ্বিতীয় ডোজের আওতায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪১ জন এবং বুস্টার ডোজের আওতায় ৪১ হাজার ১৩৭ জন। আর দ্বিতীয় বুস্টার ডোজের আওতায় এসেছেন ২৫ হাজার ৮৭১ জন মানুষ।
করোনার টিকা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯২ হাজার ১৮২ জন। দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৫২ জন। বুস্টার (তৃতীয়) ডোজের আওতায় এসেছেন ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৮ জন। আর দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজের আওতায় এসেছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ জন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
তাদের সবাইকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩ হাজার ৪৪৮ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৬ জন। গত এক দিনে ৩২১ শিক্ষার্থী নিয়েছেন প্রথম ডোজ টিকা। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৪ জন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭ জনকে করোনা প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজারের বিশেষ এ টিকার ডোজ পেয়েছে ৩০ হাজার ৯৩৩ শিশু। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ২০৯ জনকে। গত এক দিনে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৩২ শিশু।
এ ছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯২৫ জন ভাসমান জনগোষ্ঠীর মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। আর ১৫ হাজার ৯৭৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন