তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৌর শহরের একটি বাসায় দেড় বছর ধরে আটকে রেখে এক কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে শহরের একটি বাসার তৃতীয় তলা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ ওই বাসা থেকে দুই নারীকে আটক করে। তবে অভিযুক্ত গৃহকর্তা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী পুলিশকে জানায়, দেড় বছর আগে ওই বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয় সে। এর কয়েক দিন পর গৃহকর্তা তাকে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সব কিছু জেনেও গৃহকর্তীসহ বাড়ির অন্যরা এতে বাঁধা দেয়নি বলেও অভিযোগ কিশোরীর।
কিশোরীর অভিযোগ, শনিবার সকালে গৃহকর্তা তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাঁধা দেয়। এতে সে শারীরিক নির্যাতন করে হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখে ওই কিশোরীকে।
শনিবার মেয়েটির চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ সময় কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, অভিযুক্তর বাসা থেকে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলের আলোচিত পলাতক ধর্ষক চন্দন ধর কে পুলিশ ও র্যাবের দীর্ঘ অভিযানের পর মৌলভীবাজার জগৎসি গ্ৰামের সূত্রধর বাড়ী থেকে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আটক করা হয়েছে। রোববার (১৭ এপ্রিল) রাত ৩ টায় তাকে আটক করা হয়।
ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চন্দন ধরকে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ এসআই সুলতানুর রহমান সঙ্গীয় দলসহ গ্রেপ্তারপূর্বক শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের কাছে আসামিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ অভিযানে সন্ধ্যার পর থেকে র্যাবও মাঠে কাজ করেছিল। কিন্তু পুলিশ তার আগেই ধর্ষক চন্দন’কে আটক করতে সক্ষম হয়।