দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে দৃষ্টিক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে বায়োনিক চোখ। মানুষের চোখের চেয়ে বেশি দৃষ্টি ক্ষমতাসম্পন্ন বায়োনিক চোখ তৈরি করেছেন হংকংয়ের গবেষকেরা। আগামী ৫ বছরের মধ্যেই এই ইলেকট্রোকেমিক্যাল ডিভাইসটি ব্যবহার উপযোগী হবে।
দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিভাইসটি মানুষের চোখের আদলেই তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য কাঠামোগত যত নিখুঁত নকশা প্রয়োজন তা যুক্ত করেছেন গবেষকেরা। একে বিশ্বের প্রথম থ্রিডি আর্টিফিশিয়াল আইবল বলা হচ্ছে। মানুষের চোখের কার্যক্ষমতার সব কাজকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম ডিভাইসটি।
হংকং ইন্ভিার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকেরা বলছেন, যাদের চোখের দৃষ্টি আংশিক বা পুরোপুরি দৃষ্টিহীন যারা তাদের সবার কাজে আসবে এটি।
‘নেচার’ সাময়িকীতে এই গবেষণা বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বলা হয়, মানুষের চোখের মতোই কার্যক্ষম ডিভাইসটি উচ্চ রেজুলেশন ধারণ করতে পারে। এতে থাকা ক্ষুদ্র সেন্সর ছবিকে রূপান্তর করতে পারে, যা মানুষের চোখের আলোকসংবেদী কোষের অনুরূপ। এই সেন্সরগুলো অ্যালুমিনিয়াম এবং টাংস্টেন দিয়ে তৈরি একটি ঝিল্লির মধ্যে থাকে, যা মানুষের রেটিনা নকল করার উদ্দেশ্যে অর্ধ গোলকের আকারে তৈরি।
বায়োনিক আই বা বায়োনিক চোখকে মূলত ভিজ্যুয়াল প্রোস্থেসিস বলা হয়, যা পরীক্ষামূলক যন্ত্র হিসেবে দৃষ্টিহীনদের কাজে ব্যবহার করার লক্ষে তৈরি করা হয়।
হংকং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝিয়ং ফ্যান বলেন, বর্তমান গবেষণা একটি পূর্ণাঙ্গ বায়োনিক চোখ তৈরির দিকে নিয়ে যাবে। আগামী ৫ বছরে এ প্রযুক্তি বাস্তব ও প্রায়োগিক হবে। গবেষকেরা প্রাণী ও মানুষের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পরিকল্পনা করছেন।