জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকশা চালক, এতিম, প্রতিবন্ধী, মিসকিন তথা সুবিধাবঞ্চিত অর্ধশত মানুষদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ ফর সোশ্যাল এইড (ইফসা)।
সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ইতিহাস বিভাগের ২০৩নং কক্ষে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫০জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে ইফসা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ সংগঠনের সদস্যরা তাদের প্রত্যেকের হাতে ইফতার সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন। সংগঠনটি মানবিক মূল্যবোধ এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করে।
সাধারণ সম্পাদক সিকদার সঞ্চিতা তাসনিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বেবি বলেন, “এই সামান্য সামগ্রী সুবিধাবঞ্চিত এই মানুষগুলোর জন্য কিছুটা হলেও সুবিধা হবে। কয়েকদিনের জন্য হলেও তারা কিছু ভালো খাবার খেতে পারবে।”
“এই শিক্ষার্থীরা যদি এমন উদ্যোগ না হতো তবে এটা সম্ভব হতো না। আর আমরাও হয়তো এখানে অংশগ্রহণ করতে পারতাম না। তাই প্রত্যেক সামর্থবানদের উচিত একদিনের জন্য হলেও তাদের ইফতারের ব্যবস্থা করা।”
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাশহুরা শাম্মী বলেন, “তাদের এ কাজটি একটি মহতি কাজ। খুব স্বল্প হলেও সামগ্রীগুলো এই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটাবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পরও তারা ছুটি না কাটিয়ে এই মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটানোর জন্য রোজা রেখে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছে।”
সংগঠনের সভাপতি আবু নাহিয়ান এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে বলেন, “আপনি যদি স্বাবলম্বী হোন তবে আপনি আপনার পাশের মানুষটিকে এই রমজানে একদিনের জন্য হলেও সহযোগিতা করুন। আপনার এই ছোট্ট সহযোগিতাই পারে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে।”
বিতরণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আজম পলাশ, জাবির সাবেক সভাপতি আশিক আল অনিক, শফিকুল ইসলাম, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম তরুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তোরাব আতিফ, সহ-অর্থ সম্পাদক মরিয়ম উর্মিসহ অন্য সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ইফসা (ইয়ুথ ফর সোসাল এইড) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল একটি অন্যতম সামাজিক সংগঠন। ২০১৪ সালের ১২ই এপ্রিল থেকে কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি। সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও তাদের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করে আসছে ইফসা।