দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড: ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। তাই শুধু চুনোপুটি নয় রাঘব বোয়ালদেরও ধরতে হবে।
সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন গাড়ী চালকের বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশের পর তাকে গ্রেপ্তারের পেক্ষাপটে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির প্রসংগটি এখন নতুন করে আবারো সব মহলে আলোচিত হচ্ছে।
এ প্রসংগে সরকার সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (সচিব) এর সভাপতি ইকবাল আরসালান বলেছেন, এ দুর্নীতির দায় এড়াতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইতোমধ্যে ২০১৯ সালে পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এদের মধ্যে ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের নিকটজন সহ মোট ৪৩ জনকে সম্পদের হিসেব জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এছাড়া, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নিম্ন মানের পিপি-মাস্ক সরবরাহ, যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও করোনা টেষ্টের নামে ভূয়া পরীক্ষা রিপোর্ট প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতিরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে দুদক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোটিপতি বনে যাওয়া যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান চলছে তার মধ্যে রয়েছে অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ী চালক, অফিস সহকারী, ষ্টোর কিপার, এবং তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী।