আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্য খাতসহ সব খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এমনটা উল্লেখ করে বলেছেন, যেখানেই দুর্নীতি হবে সেখানেই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা রয়েছে। প্রয়োজনে নিজের মন্ত্রণালয়ের যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধেও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো বাধা নেই।
আজ রবিবার (১২ জুলাই) সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিজ বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বরাবরের মতো অভিযোগ করেছেন জনগণের জীবন জীবিকার ওপর সরকারের নাকি কোনো দায়দায়িত্ব নেই। আমি প্রশ্ন রাখতে চাই- জীবন ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে শেখ হাসিনা সরকার যখন নানামুখী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আপনারা সমালোচনা করেছিলেন কেন? লকডাউনের জন্য চাপ তৈরি করে এখন তিনি জনগণের জীবিকার কথা বলছেন। বিএনপির সুবিধাবাদী রাজনৈতিক চরিত্র এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ইতোমধ্যে জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা বিষোদগার ছাড়া এ সংকটে কী করেছেন? সরকারকে সহযোগিতা দিয়েছেন জনকল্যাণে? যাদের সময় দেশ দুর্নীতিতে অতলে ছিল, দুর্নীতিবাজদের ছিল অভয়ারণ্য, যারা নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭-ধারা বিভক্ত করে দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে এনেছে। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতির বিচার করেনি- তাদের মুখে দুর্নীতির কথা বলা ভূতের মুখে রাম নাম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সততা সর্বজন বিদিত। তিনি পেরেছেন নিজ উদ্যোগে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালাতে। শুদ্ধি অভিযান এগিয়ে নিতে। দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। বিএনপির দুর্নীতি লালন, সৃজন, সংক্রমণ ও বিকাশ ছাড়া আর কী করেছে? জনগণের কাছে আজ সবই দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
এছাড়া, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে সম্প্রতি দুটি হাসপাতালের প্রতারণা মানুষকে বিস্মিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দিবে না।’
এছাড়া আসন্ন কোরবানির ঈদে যত্রতত্র কিংবা সড়ক মহাসড়কের ওপর বা পাশে পশুরহাট বসানোর অনুমতি দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।