জাতীয় ডেস্কঃ দুর্নীতির ধারণা সূচকে (সিপিআই) বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতবার (২০২০ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায়) এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। এবার অবস্থান ১৩তম হলেও স্কোর গতবারের সমান অর্থাৎ ২৬-ই রয়েছে। ২০১৯ সালে নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।
বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের ২০২১ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) ১৪৭ নম্বরে। আর উল্টোভাবে, অধঃক্রম (খারাপ থেকে ভালো) অনুযায়ী ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এবার বাংলাদেশ রয়েছে ১৩তম স্থানে।
১৮০ দেশের এ তালিকায় ভালোর দিক থেকে অর্থাৎ কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে শীর্ষে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দেশ তিনটির স্কোর ৮৮। আর তালিকায় সবচেয়ে নিচে অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ সুদান। দেশটির স্কোর ১১।
এছাড়া ৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নরওয়ে, সিঙ্গাপুর ও সুইডেন। তৃতীয় অবস্থানে আছে ৮৪ স্কোর করা সুইজারল্যান্ড।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভুটান। কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দেশটির অবস্থান ২৫তম, স্কোর ৬৮। এছাড়া ৪০ স্কোর করে ভারতের অবস্থান ৮৫তম। শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১০২তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৪০তম, মালদ্বীপের অবস্থান ৮৫তম, নেপাল ১১৭তম এবং ১৬ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান ১৭৪তম। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু আফগানিস্তান বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে।
ট্রান্সপারেন্সে ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়েছে, গত দুই বছরে দেশে দুর্নীতি কমেনি, দুর্নীতি কমাতে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই বছরে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি বেড়েছে। সরকারি ২০টি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি বেড়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক অবস্থা।