নেত্রকোণার দুর্গাপুরে যুবলীগ কর্মী নুর নবীর (৪৫) ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোবারক হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক, মঞ্জু মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা রুমন তালুকদারসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়ালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক চেয়ারম্যান আদিবাসী নেতা সুব্রত সাংমার বিরোধ ছিল।
এরই জের ধরে গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী হামলায় মারা যান সুব্রত সাংমা। এ ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল, বদি শামীম আহমেদ ওরফে শ্যুটার শামীমের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামিরা জামিনে এসে সুব্রত সাংমার সমর্থকদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালান। সবশেষ গত শনিবার রাতে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে যুবলীগ কর্মী নূর নবীকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুরের নলজোড়া গ্রামের নূর নবী শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে শামীম লোকজন নিয়ে তার ওপর এ হামলা চালান। হামলাকারীরা নূর নবীর দু’পা ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত নূর নবীর ভাতিজা সুজন শেখ বাদী হয়ে শামীম আহমেদ, বদি, আবদুল আউয়ালসহ ১২ জনকে আসামি করে সোমবার দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। শামীম আহমেদের ভাই কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল বলেন, মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এখানে প্রায়ই ঝগড়া এবং মারামারি হয়। নূর নবীকে কে বা কারা মেরেছে, বিষয়টি আমার জানা নেই।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ দেব জানান, এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
*** আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | বিকাল ৩:৩৬ | শুক্রবার ***
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি