লকডাউনের মধ্যে অনেকেই অনলাইন শপিংয়ে বাধ্য হচ্ছে। দোকানগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকেই তাদের ব্যবসা পরিচালনায় সফল হচ্ছে। দুবাই সরকার ই-কমার্সের জন্য ‘দুবাই কমার্সসিটি’ নামের একটি নতুন ফ্রি ট্রেড জোন খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যা অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটি নতুন ধারা বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ডিএএফজেএ-এর মহাপরিচালক বলেন, ‘মোহাম্মদ আল জারুনি বিশ্বমানের ই-কমার্স পরিশেবা এর আগে আর এমন প্রয়োন হয়নি।’ এ অঞ্চলটির ই-বাণিজ্য চিহ্নিত করে মহামারিজনিত কারণে গ্রাহকদের অনলাইনে নিবন্ধনের মধ্যদিয়ে ২০২০ সালের শেষের দিকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ওয়ান-স্টপ শপ: ২.১ মিলিয়ন বর্গফুটের এ নতুন শহরটি নিউইয়র্কের গ্রান্ড সেন্ট্রাল স্টেশনের সমান। এটিকে বিজনেস, লজেসটিক ও সোশ্যাল এ তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। শহরটিতে ১২টি অফিস ভবনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন নতুন অনেকগুলো কোম্পানির সঙ্গে বাজার দখলের জন্য চুক্তি করা হয়েছে, তবে কোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তা জানানো হয়নি এখনো। খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো পোশাক, গহনা ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
কমার্সসিটির ভাড়াটেরা কোনো প্রকার ইনকাম ট্যাক্স বা করপোরেশন ট্যাক্স প্রদান করবে না। এরা ব্যাংকিং সহায়তা, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবার যাবতীয় সেবা ভোগ করতে পারবে। গ্রাহকরাও লজেস্টিক সাপোর্ট পাবে। এখানের গুদাম, রেস্তোরা ও ক্যাফেগুলো হবে এআই পরিচালিত। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৩ সালের নভেম্বরে। এর আগে প্রথম নির্মাণ ভবনটি খুলে দেওয়া হবে।
প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা :কমার্সসিটি ডেভেলপাররা আশাবাদী যে, এমন সিটি নির্মাণের ফলে বাজার আরো বৃদ্ধি পাবে। সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা বিএমআই -এর গবেষণা থেকে জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে ২০২২ সাল পর্যন্ত ই-বাণিজ্য ৪৮.৬ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার। জিএএফজিএ-এর নিজস্ব গবেষনা মোতাবেক, মিডেল ইস্ট, নর্থ আফ্রিকা,সাউদইস্ট এশিয়) এমইএনএএসএ-এর ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধির হার ২৪.৬%।
কমার্সসিটি নিয়ে ভবিষ্যদ্বানীগুলো মূলত ন্যায়সঙ্গত। গবেষণা সংস্থা ইউরোমনিটরের বিশ্লেষক মেহেরনৌশ শাফি বলেন,‘সেক্টরটি নিন্ম বেজ থেকে বাড়ছে। আরব আমিরাতে অনলাইনে বিক্রির মাত্র ১% আসে অনলাইন থেকে ও বাকি সব আসে দোকন থেকে।’ তিনি আরো বলেন, দেশটি ডিজিটালাইজড এর জন্য লক্ষবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রযুক্তি আছে, রাষ্ট্রের সমর্থন আছে এবং জনগণও প্রস্তুত রয়েছে। ’ তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ের জন্য তাদের মালামাল মজুদের জায়গার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি ধীর সরবরাহ একটি বড় সমস্যা। নতুন ফ্রি জোনে যদি এই সমস্যাগুলো সমাধান করা যায় তাহলে প্রবৃদ্ধি আরো দ্রুত বাড়বে।