চলমান বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা নদীর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তেলিয়ানী পাড়ায় দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার রাতে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। সকাল ৯টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলী জমি। পুকুর তলিয়ে মাছ চাষিদের খুবই ক্ষতি হয়েছে। ঘরে পানি ওঠায় অনেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া শুরু করছে। কেউ কেউ উপায় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে, নৌকার মধ্যে রাত্রী যাপন করছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২২) ও শুক্রবার (২৩ জুন) দুদিন জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি হবে। এতে করে সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে বড় ধরনের কোনো বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। এছাড়া জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সব উপজেলার ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫৪১ টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি