দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে অপর দুই কমিশনারও পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন-কমিশনার আছিয়া খাতুন (অনুসন্ধান) ও কমিশনার জহুরুল হক (তদন্ত)।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা পদত্যাগপত্র দেন।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, কিছুক্ষণ আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কী কারণে পদত্যাগ করেছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল দুদক সংস্কার কমিশনের। বৈঠকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশনের সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এর আগেই পদত্যাগ করলেন চেয়ারম্যান ও ২ কমিশনার। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পুরো কমিশন অফিস ত্যাগ করেন।
২০২১ সালের ৩ মার্চ সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি আগের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের স্থলাভিষিক্ত হন। একই দিন মো. জহুরুল হক দুদকের কমিশনার (তদন্ত) নিয়োগ পান ।
মো. জহুরুল হক তার আগের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
আর ২০২১ সালের ১৩ জুন দুদকে কমিশনার (অনুসন্ধান) হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন। তিনি বিদায়ী কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।
আইন অনুযায়ী, তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়। কমিশনারদের মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। তিন কমিশনারের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়।
সেই হিসাবে মেয়াদ পূরণের আগেই বিদায় নিতে হলো দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনুউদ্দীন আব্দুল্লাহকে। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদল পরবর্তী মইনুউদ্দীন আব্দুল্লাহর কমিশন পদত্যাগ করছে কি-না তা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম