দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চিঠিতে বলা হয়— ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরে অধীন বিভিন্ন কার্যালয়ে কতিপয় দুর্নীতিবাজ সেচ্ছচারী ও ক্ষমতা অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন যাবত একই কর্মস্থলে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতির শক্তিশালী বলয় তৈরি হয়েছে, যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সুশাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে। দুদকে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে।’
২৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপরেটর আজমল খান, ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম হিসাব রক্ষক আব্দুল কুদ্দুস, সিলেটে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোউস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন, বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, রংপুর স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।