স্টাফ রিপোর্টারঃ আরাফাত আহমেদ রনি
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লালখান বাজার ছাত্রলীগ নেতা দিদার হত্যাকান্ডের দুইবছর পুর্ন হয়। দুই বছর হয়ে গেলেও মামলার এখনও কোন বিচারের মুখ দেখেননি দিদার এর স্বজনেরা। তৎকালিন সময় ৩০ জনকে আসামি করে এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করে মামলা করলেও দুই বছরেও এই মামলার কোন গতি দেখছে না দিদারের স্বজনেরা। দিদারের স্বজনদের দাবি লালখান বাজারের প্রভাবশালী মহলের কারনে বিচার এখনও আটকে রয়েছে।দিদার হত্যা মামলার মুল আসামিরাও এখনও জামিনে বাহিরে।এই মামলার তদন্তও নিয়েও এখন পর্যন্ত কোন পুর্নাঙ্গ তথ্য জানে না কেউ। সন্তান হারা স্বজন এখন শুধু মাত্র ছেলে হত্যার বিচারের আশায় বসে আছে।
প্রসঙ্গত: প্রতিদ্বন্দ্বী দু‘গ্রুপের সংঘাতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে লালখানবাজার এলাকাস্থ প্রাইমারি স্কুলের সামনেই ছুরিকাঘাতের শিকার হন যুবলীগ কর্মী দিদার। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
দিদার হত্যায় মামলা: দিদার খুনের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় গত ১ অক্টোবর দিনগত রাত সাড়ে ১২টায়। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ জন। নিহতের পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলশী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তিতে মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র আসার পর মামলাটি আবার তদন্তে গেছে। আদালতের আদেশে আলোচিত মামলাটি অধিকতর তদন্তে নেমেছিলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।