অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি : স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেত দিনাজপুর নবাবগঞ্জের সবজি। করোনা ও ভারী বৃষ্টিপাতে সবজি আবাদ একেবারে বিনষ্ট হওয়ায় বাজার গুলোতে উঠছে না শাক-সবজি। বেশি দামে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। করোনা প্রভাবে কর্মহীন মানুষ অন্যদিকে বৃষ্টি পাতে সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি সব মিলিয়ে কাঁচা বাজারে লাগামহীন মূল্যে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত । সপ্তাহে একদিনেও সবজি কেনা এখন দুরুহ ব্যাপার।
মাসখানেক থেকেই সবজির বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । কিন্ত গেল এক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম লাগামহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতিটি সবজিতে কেজি প্রতি দুই থেকে চারগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের । উপজেলা বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়-কাঁচা মরিচ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, পিয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, পোটল ৫০ টাকা, লাল শাক ১০টাকা আটি, কাচা কলা ২০ টাকা হালি, যে কোনো লাউ ৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ব্যবসায়ী রমজান আলী বলেন আমাদের অবস্থা ভালো না করোনার কারণে ব্যবসা নাই তার উপরে কাঁচা বাজাররের লাগামহীন দর। সবজি বিক্রেতা আহাদ আলী বলেন অতিবৃষ্টিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা অধিকাংশ সবজির আবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উপজেলার বাহির থেকে সবজি আনতে হচ্ছে তাই একটু দাম বেশি।সবজিচাষী বিলাশচন্দ্র বলেন প্রতি বছর ২-৩ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করি । এবার ১বিঘা জামিতে সবজি চাষ করছি কিন্ত বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে মাত্র ১০ শতক জামিতে সবজি আছে । যা আছে এতে ফলন অধেক বেশি দামে বিক্রি করেও খরচের টাকা উঠবে না ।