সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই, প্রথম দুই ম্যাচের হারে। তাই এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। না, তা পারেনি লাল-সবুজের দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে মাশরাফিরা।
আজ বুধবার ডানেডিনে বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতার দিনে দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করে দলের হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছেন তিনি।
তা না হলে শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, হয়তো আরো দ্রুত ইনিংস গুটিয়ে যেত দলের ইনিংস। ইনিংসের প্রথম ওভারেই নেই দুই উইকেট। দলের রান যখন ২, তখন হারিয়েছে তিনটি উইকেট। সে ধারাবাহিকতায় ৬১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে সাব্বির রহমান ষষ্ঠ উইকেটে সাইফউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়ে দলের এই বিপর্যয় এড়ান। ষষ্ঠ উইকেটে তাঁরা করেন ১০১ রান।
সাইফউদ্দিন ৬৩ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও সাব্বির প্রতিপক্ষে বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তিনি ১১০ বলে ১০২ রান করেন, যাতে ১২টি চার ও দুটি ছক্কার মার রয়েছে। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। স্বাগতিকরা নির্ধারিত ওভারে করে ৩৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ।
টেলরের রেকর্ডের এই ম্যাচে দারুণ উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছেন হেনরি নিকোলস ও টম ল্যাথাম। দুজনই দারুণ দুটি হাফসেঞ্চুরি করেন। আর শেষ দিকে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও জিমি নিশাম ঝড় তোলেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বল হাতে শুরুতে দলকে সাফল্য এনে দেন কলিন মুনরোকে (৮) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গাপটিলও বেশিদূর যেতে পারেননি (২৯)। তবে তৃতীয় উইকেটে নিকোলস ও টেলর ৯২ রানের চমৎকার জুটি গড়েন। নিকোলস মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরার আগে ৭৪ বলে ৬৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন।
এর পর টেলর ৮২ বলে করেন ৬৯ রান ও ল্যাথাম ৫১ বলে করেন ৫৯ রান। নিশাম শেষে দিকে ২৪ বলে করেন ৩৭ রান, গ্র্যান্ডহোম ১৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রান করে।
সূত্র ঃ এন টি ভি