দল হিসাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অন্যতম পুরান রাজনৈতিক দল। কমিউনিষ্ট পার্টি এবং জামাত ই ইসলামিও পুরান দল কিন্তু, আওয়ামী লীগ জনতার দলে হিসাবে স্বিকৃতি পেয়েছে স্বাধীনতার আগেই। জাতীর পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলকে জনগনের কাছে নিয়ে গেছেন। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রমান করেছে আওয়ামী লীগের উপরই মানূষের আস্থা রয়েছে। স্বাধীনতার পর সব দলই স্বক্রিয় হয়ে উঠে। নতুন দল গঠিত হয় জাসদ, তারা কেউ দেশ গঠনে সম্পৃক্ত না হয়ে বংগবন্ধুর সরকার উৎখাতের আন্দোলন করে। ৭৫ এ জাতীর জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর জেলের অভ্যান্তরে হত্যা করে চার জাতীয় নেতাকেও। শুরু হয় দল ভেংগে দলছুট নেতাদের এম পি, মন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগীতা। নেতৃত্ব দেওয়ার মত নেতাও ছিলনা। ৮১ সাল পর্যন্ত দলে কোন্দল চলেছে কে হবেন মূল নেতা। বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসে দলের হাল ধরেন। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে ৯৬ সালে সরকার গঠন করেন। আবার ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ কে পরাজিত করা হয়। ৭৫ এর শত্রূরা আবার ক্ষমতা দখল করে। কোথায়ও না কোথায়ও দলের নেতারাও জড়িত ছিল।
দলের অভ্যান্তরে একই প্রবনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে আবার সর্বত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে গেছেন। রাজনীতিকেও বদলে দিয়েছেন। জনগনের সমর্থন নিয়ে অন্য কোন দলের ক্ষমতায় যাওয়ার শীঘ্রই কোন সম্ভাবনা নেই। রাজনীতিকেই মনে করা হচ্ছে ভাগ্য বদলের সিঁড়ি তাই, দলে অনুপ্রবেশ ঘটেছে স্বার্থবাদি আর দুর্নীতিবাজ নেতাদের। জননেত্রী শেখ হাসিনা মূল নেতা হিসাবে বিষয়টি উপলব্দি করেছে। হুঁশিয়ার করেছেন সবাইকে, থামেনি কেউ। শাহেদ পাপিয়ারা এভাবেই দলে ঢুকেছে, ক্ষতি করেছে দলকে। এখন নেত্রীকে খুশী করার চেষ্টা চলছে নেতা হওয়ার জন্য।নেত্রীর নির্দেশে দলের শুদ্ধিকরন শুরু হয়েছে। এই শুদ্ধি অভিযান জরুরীও ছিল।
সমর্থক আর কর্মী এক নয়। কর্মী দলের কর্মসূচীকে জনগনের কাছে নিয়ে যায়, সমর্থক ভোট দেয়। কর্মীবাহিনীর আচরন দলের ভাবমূর্তি প্রচার করে জনগনের কাছে। একজন ত্যগী কর্মী কখনোই দলের সুনাম বিনষ্ঠ করবেনা। সুবিধাবাদী কর্মী চিহ্নিত করতে এটাই শ্রেষ্ঠ উপায়। প্রকৃত কর্মীরা পদ নিয়েও বিদ্রোহ করেনা, দলের প্রতি আস্থাটিই কর্মীকে নেতা বানায়। সম্প্রতি নেতা নির্বাচনে সেই পন্থাটিই উঠে এসেছে। পদ প্রত্যাশীরা ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেরাই নিজেদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছে। প্রধান নেত্রীর নজর কাড়তে প্রচারনার কৌশল নিয়েছে অনেকেই। ত্যগী আর যোগ্য নেতা নির্বাচনে জনগন ভুল করেনি কখনোই- এবারও করবেনা শুধু, দলকে আর নেতৃত্বকে অনঢ় থাকতে হবে। প্রভাবিত না হয়ে নেতৃত্ব ত্যগী কর্মী চিহ্নিত করলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বদলে যাবে। দলের একজন সাধারন কর্মী হিসাবে ত্যগী ও যোগ্য কর্মী নির্বাচনে দলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
৫ ই সেপ্টম্বর ২০২০।