সমগ্র বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে যখন পুরো বিশ্ব নাজেহাল, হিমশিম খাচ্ছে এই অতিমারীর মোকাবিলায় তখন চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ভাইরাসটি মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। যেখানে এখনো পিছিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশিত ‘কোভিড রেজিলিয়েন্স র্যাংকিং’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও মহামারীর অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় কোন দেশ কেমন সফল হয়েছে এই দুটি বিষয় নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর এই ‘করোনা সহনশীল’ দেশের আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং প্রকাশ করছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গ প্রকাশিত র্যাঙ্কিং এ চলতি ডিসেম্বরে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে ২০তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। কারণ তালিকায় বাংলাদেশের আগে আর কোনো দেশের নাম নেই।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির নিশ্চয়তার সূচকে ভালো স্কোর গড়ে র্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের সংগ্রহ ৮৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তাইওয়ানের স্কোর ৮২ দশমিক ৪। এরপর রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া (৮১), নরওয়ে (৭৭), সিঙ্গাপুর (৭৬.২), ফিনল্যান্ড (৭৫.৮), জাপান (৭৪.৫), দক্ষিণ কোরিয়া (৭৩.৩), চীন (৭২), ডেনমার্ক (৭০.৮), কানাডা (৭০), ভিয়েতনাম (৬৯.৭), হংকং (৬৮.৫), থাইল্যান্ড (৬৮.৫), আয়ারল্যান্ড (৬৭.৩), সংযুক্ত আরব আমিরাত (৬৫.৬), ইসরায়েল (৬২.৪), রাশিয়া (৬১.৭), নেদারল্যান্ডস (৬১.৩) ও বাংলাদেশ (৫৯.২)।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় পাকিস্তান ২৯ নম্বরে ও ভারত ৩৯ নম্বরে রয়েছে। ব্লুমবার্গের নভেম্বরের র্যাঙ্কিংয়ে ২৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ দারুণ সফলতা দেখালেও টিকাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার সুবিধার আওতায় রয়েছে। এমনকি টিকাপ্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান এগিয়ে আছে।