পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিষয়ক খসড়া পাসে ব্যর্থ হয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মঙ্গলবার রাতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেন এমপিরা। এতে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ২’শ ২ আইনপ্রণেতা এবং বিপক্ষে ভোট দেন ৪’শ ৩২ এমপি। ২’শ ৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান থেরেসা মে।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা ব্রেক্সিট নাটকীয়তার অবসান ঘটাতে মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে আলোচনা শুরু করে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ও বিরোধীদল লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন দল। এসময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মে’র সম্পাদিত খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চলে দীর্ঘক্ষণ যুক্তিতর্ক।
এরপরই শুরু হয় ভোটাভুটির পালা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হুইলচেয়ারে করে ভোট দিতে আসেন এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। পরে সবপক্ষের ভোট দেয়া শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ২’শ ২ আইনপ্রণেতা এবং বিপক্ষে ভোট দেন ৪’শ ৩২ এমপি। ফলে ২’শ ৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা বলেন, ধন্যবাদ স্পীকার। হাউজে এমপিরা তাদের মতামত দিয়েছেন, আর সেটি সরকার শুনবেন। তবে এটা পরিষ্কার যে হাউস এই চুক্তিকে সমর্থন করছে না। কিন্তু আজকের রাতের এই ফলাফলই সব কিছু নির্ধারণ হয়ে গেছে তা নয়।
থেরেসা মে’র এমন শোচনীয় পরাজয়ের পর পরই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। এমন পরাজয়কে থেরেসে মে সরকারের জন্য বড় লজ্জাজনক বলে অ্যাখা দেন তিনি।
মে সরকারের বিরুদ্ধে এমন প্রস্তাবের ফলে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন গড়াতে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে ভোটের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্রেক্সিট বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।