বি এন পি’র ডাকা অবরোধের বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় দিন। এদিনও ঢাকা শহরের দৃশ্য ছিল অভিন্ন। বিক্ষিপ্ত সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে অনেক জায়গায়। তবে সরকারী দলের কর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়া দিয়েছে। পুলিশও তৎপর রয়েছে শহরজুড়ে। গাড়ী চলাচল একটু বেশী হলেও আতঙ্কটি কাটেনি। রাস্তায় প্রাইভেট গাড়ীর সংখ্যা ছিল কম। আবারও আগামীকাল রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ দলটির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা চলছে সব রাজনৈতিক মহলে।
কেউ কেউ প্রশ্নও তুলেছেন ২৮ তারিখের ঘোষিত মহাসমাবেশ ছেড়ে নেতারা পালিয়ে গেল কেন? কার ভয়ে নেতারা মঞ্চ ত্যগ করলো? যারা গলা ফাটিয়ে বলেছেন সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে! তারা নিজেরাই মঞ্চে থাকতে পারলনা! এই সাহস নিয়েই কি সরকার পতনের আন্দোলনে গেছে? একটি ট্রাক থেকে মির্জা ফখরুল হরতালের ডাক দিয়েই উধাও হয়ে গেছেন। পরে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে এখন শ্রীঘরে। মানুষ জানতে চায় শান্তি সমাবেশের ঘোষনা দিয়ে পুলিশের উপর এমন তান্ডবতা হল কেন? হাসপাতাল আক্রমন করার এমন নজির যুদ্ধ ক্ষেত্রেও হয়না। এই সহিংসতার দায় বি এন পি নেতারা কি এড়াতে পারবেন?
পুর্ব ঘোষনা ছাড়াই দলের নিম্ন স্তরের নেতারা বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা নিয়ে কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করল কার নির্দেশ? ইশরাকের মত পুচকি নেতা কি এই সাহস দেখাতে পারে? তাহলে বি এন পি’র মূল নেতাটি কে?
✪ আরও পড়ুন: অবরোধ
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: ড: ইউনুস
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
এক দফা আন্দোলনের জন্য সরকারের উপর স্নায়ু চাপ অবশ্যই ছিল। কিন্তু সভা ছেড়ে পালিয়ে বি এন পি নেতারা প্রমান করেছেন তাদের সব হুমকি ধমকি ভুয়া ছিল! আন্দোলনের চাপ মুক্ত হয়ে সরকারই বরং এখন নিরাপদ অবস্থানে। সরকারের মেয়াদও বাকি রয়েছে আর মাত্র ২৭ দিন। এ মাসেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে। এমন সময়ে বি এন পি নেতারা পুলিশ হত্যার আসামি হয়ে হয় লুকিয়ে না হয় গ্রেপ্তার। কে এখন দলের নেতৃত্বে? সরকার পতনের এক দফা দাবী কি তাহলে এখানেই যবনিকাপাত হয়ে গেল? নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়ে গেলে বি এন পি কি তাদের পুর্বের অবস্থানেই অটুট থাকবে?
সব দলই নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। কে কোথায় কোন আসনে নির্বাচন করবেন তা’ও নিত্য আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনায় বি এন পি নেতাদের নামও উঠে এসেছে। কিন্তু বি এন পি কি মাঠ কর্মীদের প্রস্তুত করতে পেরেছে? শোনা যায় প্রায় অর্ধেক জেলায় পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা কি বি এন পি’র নির্দেশনা মেনে নির্বাচন বর্জন করবে? কিন্তু ভোটার উপিস্থিতি যদি উল্লেখ পরিমান হয় এবং অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেয়, তাহলে বি এন পি’র নির্বাচন বর্জন কতটা বিবেচ্য হবে?
✪ আরও পড়ুন: রাজকাহন
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
নি:সন্দেহে বি এন পি একটি বড় দল। নির্বাচন করলে বি এন পি’ই হবে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিপক্ষ। কিন্তু বার বার নির্বাচন বর্জন করে দলটি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে? বি এন পি এখন চরমভাবে নেতৃত্ব সঙ্কটে। যে কারনে নেতাকর্মীরাও হতাশ।এই বিবেচনায় একটি কথা এখন বলাই বাহুল্য ” সব গুছিয়ে এনেও বি এন পি আবারও ব্যর্থ হল”। নেতৃত্বের ভুলে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে পারলনা।
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:১১ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি