তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ৮ দিন পার হতে চলল। এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও প্রাণের অস্তিত্ব মিলছে। বাঁচার আশা করছেন অনেকে। তবে সেই আশা ধীরে ধীরে হতাশায় রুপ নিচ্ছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩১ হাজার ৬৪৩ এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৫০০ জন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় সোমবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার পেরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। তবে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।
✪ আরও পড়ুন: “ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করা গেলে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে”
আরো জানা গেছে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে গতি আনতে আরো সাহায্যের প্রয়োজন। এরই মধ্যে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ধারণা করছেন যে, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ২৪ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ান্তেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৫ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান