তুরস্কের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজারের বেশি দাঁড়িয়েছে। আর তাই দ্রুত বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভবন নির্মাণকারীদের দায়ী করছে তুরস্কের সরকার। এজন্য ভবন নির্মাণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সরকার। খবর সিএনএন।
ক্রমবর্ধমান গণক্ষোভের মধ্যে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ ভবন ধসের ঘটনায় ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, এরই মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিরিয়া ও তুরস্কে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সময় যত গড়াচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের বেঁচে থাকার সময় ততই ফুরিয়ে আসছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ হাজার ৬৩৪ জনে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জনের। দু’দেশেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কার্যক্রমে ধীরগতির অভিযোগ করেছেন তুরস্কের অনেক বাসিন্দা। ফলে শোকাহত পরিবারগুলো প্রিয়জন হারানোর বেদনায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন