যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় ঘটেছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তিন বছরের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে অভিজ্ঞতা না থাকলেও শুধুমাত্র ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আনারুল ইসলাম। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে চাকুরী নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আনারুল ইসলাম প্রথমে ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নবারুণ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে পূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন না করেই তথ্য জালিয়াতি করে যশোরের পাঁচ বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে ইস্তফা দিয়ে আবারও তিনি নবারুণ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে আবারও ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর এমপিজেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় সেখানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেলে অর্থাৎ ৮ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়া শুরু করেন। এখান থেকে গত ১৬ মে ২০২৩ তারিখে প্রায় ২১মাসের মাথায় তিনি আবারও প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শর্তানুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করতে হলে ৩ বছর বা ৩৬ মাসের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামুলক। কিন্তু তিনি এই অভিজ্ঞতা না থাকলেও তার আবেদন পত্র গৃহীত হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য বড় অঙ্কের অর্থিক লেনদেন হয়েছে এবং সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে স্থানীয় সচেতন মহল ধারণা করছে।
সদ্য প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম বলেন, আমার কাগজপত্র সব ঠিক আছে। তখন তার বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ কাগজ প্রদর্শন করানো হলে, তিনি বলেন আগে দুরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। অনেক পরিশ্রম হতো। এখন কাছে হয়েছে। অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে তিনি বলেন, যদি সরকারি বেতন ভাতা না হয় তবে এখানে বিনা বেতনে চাকরি করবো।
সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি আজহারুল ইসলাম লাবু বলেন, সে (প্রধান শিক্ষক) বলছে কোন তথ্য গোপন করেনি।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি