বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘বোমাসদৃশ’ বস্তু পাওয়া নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর ভাষ্য, তথ্যমন্ত্রী অবিরল মিথ্যাচার করছেন।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
এই ঘটনার পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বোমাসদৃশ বোতল উদ্ধারের পেছনে ওপর মহলের নীলনকশা রয়েছে। রিজভীর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পেট্রলবোমার সঙ্গে বিএনপির কর্মীরা বেশ পরিচিত। বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক ভবনে পাওয়া বোমাসদৃশ বস্তুর সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে আজ রিজভী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই এলাকায় তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকার কথা। যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কাকপক্ষীও ঢুকতে পারে না, সেই বিএসএমএমইউতে বোমাসদৃশ বোতল উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী এখন বিএনপির যোগসূত্র খুঁজছেন। এ জন্যই বলেছি যে, আওয়ামী নেতারা চরম মিথ্যাচার দিয়ে নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পারঙ্গম।’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী পাল্টা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। তাঁর ভাষ্য, পেট্রলবোমা কালচার (সংস্কৃতি) আওয়ামী লীগের আবিষ্কৃত। সেটা তথ্যমন্ত্রী এড়িয়ে গেলেও দেশবাসী ঠিকই জানে।
রিজভীর দাবি, গত বছরের নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে গায়েবি মামলা, মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির নামে মামলা, পবিত্র হজ পালনরত ব্যক্তির নামে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিজেরা অপকর্ম করে অন্যের ওপর দায় চাপায়। বিএসএমএমইউতে পেট্রল বোমাসদৃশ বোতলও ক্ষমতাসীন মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ। এটা কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এটাও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার।
রিজভী বলেন, জনগণের ওপর জবরদস্তি করে মিথ্যা কথার মায়াজাল বিস্তার করা যায় না।
সুত্র : প্রথম আলো