জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। তার সফরসঙ্গী হিসেবে এসেছেন সুইডেনের বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জোহান ফরসেল, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির।
জানা গেছে, তিনদিনের এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ ছাত্র ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সুইডিশ রাজকন্যা। তার এ সফরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সহায়তার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। সফরের দ্বিতীয় দিন ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রা উপজেলায় যাবেন। সরকার ও ইউএনডিপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরজমিনে পরিদর্শন করবেন তিনি।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াছির আরেফীন কালবেলাকে বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এর মধ্যে ১৯ মার্চ তিনি বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রা উপজেলা পরিদর্শনে করবেন।
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় লোকজনের জীবনমান নিজ চোখে দেখা, লিঙ্গ সমতা, মহারাজপুর ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর দেখা, মদিনাবাদ স্মার্ট পোস্ট সেন্টারের উদ্বোধন এবং ব্যবসায়িক খাতের ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এসডিজি বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং চলমান কয়রার দুর্যোগকবলিত চ্যালেঞ্জগুলো পরিদর্শন করবেন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় অতিথি কয়রায় আগমনে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা নজরদারিসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম তারিক-উজ-জামান কালবেলাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাষ্ট্রীয় অতিথিকে বরণের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম