আজ (শুক্রবার) সকাল সোয়া ১০টার দিকে দেশে ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে নোয়াখালী অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়েছে। লংমার্চটি নোয়াখালীর মাইজদী পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে। জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৃহত্তর ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এরই অংশ হিসেবে আজ লংমার্চ শুরু হলো।
লংমার্চের অন্যতম আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানান, “শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে গুলিস্তান গিয়েছি। এরপর আমরা বাসে করে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ও সোনারগাঁও, কুমিল্লার চান্দিনা ও শহর, ফেনী, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর চৌমুহনী ও একলাশপুরে যাব। পথে কয়েকটি সমাবেশ হবে। শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে।” ছয়টি বাস ও একটি পিকআপে প্রায় ৪০০ মানুষ এই লংমার্চে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদে আজ জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সম্মিলিত ইসলামিক দলের ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর আমীর ও সম্মিলিত ইসলামিক দলের সমন্বয়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমি বলেছেন, সরকার যদি দেশে খুন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্ম বন্ধ করতে না পারে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। সরকার নানাভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য সকল দলের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানান কাসেমি।
এ সময় ধর্ষণ প্রতিরোধে তিনি সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। সমাবেশে বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।