টার্গেটটা ‘বড়’ ছিল। তাই হয়তো শুরু থেকেই খেই হারিয়ে ফেলে রাজশাহী কিংস। কিন্তু, টি-২০তে ১৮৯ রান তো হরহামেশাই হয়। কিন্তু রাজশাহীর কাছে এটাই হয়ে গেল হিমালয়ের চেয়ে ঊঁচু। যা টপকাতে গিয়ে ১০৬ রানেই গুটিয়ে যায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আর বড় জয়ে আসর শুরু করে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।
শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানে আত্মসমর্পণ করে রাজশাহী। মেনে নিতে হয় ৮৩ রানের বড় হার।
এরআগে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ ওভারেই ১০০ তুলে ফেলে ঢাকা ডায়নাইটস। রংপুরের দুই ওপেনারের ব্যাটে কচুকাটা হন মেহেদী মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন বাবুরা। হতাশায় ডুবতে থাকা রাজশাহী মাঝখানে দারুণবাবে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আন্দ্রে রাসেল-শুভগত হোমদের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহই পেয়ে যায় ঢাকা। যেখানে একটা সময় মনে হচ্ছিল বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বুঝি আজই ভেঙে দিবে ঢাকা। কিন্তু মাঝখানে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানের থামে সাকিব আল হাসানের দল।
মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহীর তরুণ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে মিরাজের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণে শুরু থেকেই উঠেপড়ে লাগেন ঢাকার দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই এবং সুনীল নারিন। নারিন কিছু বল খরচ করে ফেললেও জাজাই ছিলেন একেবারেই অগ্নিশর্মা। মাত্র ২২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। যেখানে মোস্তাফিজের কাটার কিংবা মেহেদী মিরাজের গুগলি ব্যর্থ সেখানে দলকে দিশা দেখান পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। অর্ধশতক হাঁকানোর পরপরই হাফিজের বলে মাথার উপর ক্যাচ তুলেছিলেন জাজাই। কিন্তু সহজ ক্যাচ গ্লাভবন্দি করতে ব্যর্থ হন উইকেটকিপার জাকির হাসান।
সে যাত্রায় ব্যর্থ হলেও সুনীল নারিনকে (৩৮) ফিরিয়ে দলে স্বস্তি এনে দেন হাফিজ। ৪১ বলে ৭৮ রান করে মেহেদী মিরাজের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাজাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা ডায়নামাইটস ৬৮/০ (৬.১) হজরতুল্লাহ ৭৮, নারিন ৩৮, রাসেল ; সানি ২৩/২, মিরাজ ৩৮/১, মোস্তাফিজ ২৭/১, হাফিজ ১৫/১।
রাজশাহী কিংস: ১০৬/১০ (১৮.২) হাফিজ ২৯, সানি ১৮; রুবেল ৭/৩, মোহর শেখ ২৪/২, সাকিব ১১/২।
ঢাকা ডায়নামাইটস ৮৩ রানে জয়ী।