মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:: রাজধানী ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ জন্য সড়কের সিগন্যালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইপিএস)।
সড়কে সঙ্কেত ব্যবস্থায় নতুন এ পদ্ধতি চালু করতে কাজ করছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে বদলে যাবে সিগন্যালগুলোর ট্রাফিক ব্যবস্থা। ডিটিসিএর এক কর্মকর্তা জানান, ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমে সিসি ক্যামেরা বা রাস্তায় বসানো গাড়ি শনাক্তকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ির সংখ্যা হিসাব করা যাবে। যে লেনে চাপ বেশি থাকে সেদিকের গাড়িগুলোর জন্য জ্বলে উঠবে সবুজ বাতি। কোনো গাড়ি ট্রাফিক আইন অমান্য করলে সেটি শনাক্ত করা যাবে।
এ ছাড়া পথচারীদের সংখ্যা হিসাব করে সে অনুযায়ী পথচারী পারাপারের সঙ্কেত দেবে আইপিএস। আর এর সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে। আইপিএস পদ্ধতির সিসি ক্যামেরাগুলো ৩০০ মিটার এলাকার যানবাহনের হিসাব রাখতে সক্ষম হবে। এ প্রকল্প সফল হলে রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালে এ ব্যবস্থা চালু করা বলে জানান ডিটিসিএ কর্মকর্তা।
ডিটিসিএ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর চারটি গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইপিএস)। মহাখালী, গুলশান-১, ফুলবাড়িয়া ও পল্টন মোড়ে এটি স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফুলবাড়িয়া, পল্টন, মহাখালী ও গুলশান-১ মোড়ে আইটিএস স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে। সড়কে আলাদা লেন নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে সড়ক বিভাজকও।
এ ব্যাপারে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে, সড়কে নিরাপদ চলাচলে মনিটরিং ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ দিকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক হিসেবে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে রামপুরা ট্রাফিক জোন। গত বছর এপ্রিলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু হয়।
এ ব্যাপারে ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে, সড়কে নিরাপদ চলাচলে মনিটরিং ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সিসি ক্যামারার এ ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রাখবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার প্রতিটি গুরুত্ব¡পূর্ণ পয়েন্ট সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।