উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকার রাস্তায় চলবে বৈদ্যুতিক গণপরিবহন। সে লক্ষ্যে চলতি বছরের শেষ দিকে বিআরটিসি বহরে ১০০টি দোতলা বৈদ্যুতিক বাস যুক্ত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ৮০টি ঢাকা নগরীতে, আর ২০টি ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (১০ মে) সকালে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গণপরিবহনকে বৈদ্যুতিক পরিবহনে ত্বরান্বিতকরণ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে তিনি কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমানোই হবে এর লক্ষ্য। বিআরটি প্রকল্পেও চলবে বৈদ্যুতিক গণপরিবহন।
প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে। আজকের কর্মশালায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১২টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ২৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইডের জন্য গণপরিবহনের ধোঁয়া দায়ী। তাই প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কার্বন নির্গমন ২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বড় বড় দেশগুলো কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, বাংলাদেশের মতো ছোট ছোট দেশগুলো ভোগান্তির শিকার। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, অ্যাকশনে যেতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
২০৩০ সালের মধ্যে ৪ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। সড়ক-পরিবহন খাতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ পরিবহনকে বৈদ্যুতিক গণপরিবহনে রূপান্তর করতে হবে বলেও জোর দেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল্লাহ নুরী জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে সরকার ‘ইলেকট্রিক ভেহিকল নীতিমালা’ প্রণয়নের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি চালু করার আগ্রহ প্রকাশ করে। ২০১৫ সালের জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে এ বিষয়ে ২০০ কোটি ডলারের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় বিআরটিসির জন্য ৩০০টি বিদ্যুৎচালিত দ্বিতল এসি বাস সংগ্রহ করা হবে। তারই প্রথম চালানের ১০০ বাস অক্টোবরে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন