অধিনায়ক সোহানের নৈপুন্যে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ব্যাট হাতে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রংপুরের জয়ের নায়ক অধিনায়ক সোহান।এর মাধ্যমে চলতি আসরের চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করল রংপুর। এর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলের প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন নাঈম শেখ। মাহেদী হাসানও ফেরেন ৪ রানে।
এরপর শক্ত প্রতিরোধ গড়েন রনি তালুকদার ও নুরুল হাসান সোহান। রনি সোহানের ৯৩ রানের জুটিতে ম্যাচ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় রংপুর। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনই আউট হলে কিছুটা নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। রনি ৩৪ রানে আউট হলেও ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন সোহান। নিজের ৫০০তম টি-২০ ম্যাচ খেলতে নামা শোয়েব মালিক ৭ রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। মোহাম্মদ নাওয়াজ করেন ১ রান। নাসির হোসেনের বোলিংয়ে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েন রংপুরের ব্যাটাররা।
✪ আরও পড়ুন: মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সে আরও দুই বিদেশি
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। মুক্তার আলীর করা ওভারটির প্রথম ৩ বল থেকে এই রান তুলে ফেলেন হারিস রউফ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ঢাকার হয়ে নাসির ৪টি, শরিফুল ইসলাম তিনটি ও আমির হামজা একটি উইকেট শিকার করেন। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। প্রথম ওভার থেকেই সাফল্যের আনন্দে মেতে ওঠে রংপুরের খেলোয়াড়রা, যা বজায় ছিল ইনিংস জুড়ে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আরিফুল হক। এছাড়া আব্দুল্লাহ আল মামুন ২৩, অ্যালেক্স ব্লেক ১৮ ও শরিফুল ইসলাম ১১ রান করেন। শেষদিকে আমির হামজার অপরাজিত ১৫ রানের ক্যামিওতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ঢাকা। ঢাকার আর কেউই দুই অংকের ঘরে রান করতে পারেননি। রংপুরের বোলারদের মাঝে আজমতউল্লাহ ওমরজাই দুটি এবং মাহেদী হাসান, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।