স্কটল্যান্ডের এক দ্বীপে অবস্থিত হাসপাতালে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি পাঠাতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। যে সরবরাহ কাজে প্রচলিত পথে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে, পরীক্ষা সফল হলে সেটি ১৫ মিনিটেই করা যাবে।
আগামী দুই সপ্তাহে ড্রোনের সাহায্যে আকাশ পথে মাস্ক এবং ডামি কার্গো পাঠানো হবে মূল ভূখণ্ডের ওবেন থেকে আইল অফ মুলে। গতানুগতিক হিসেবে সবমিলিয়ে ১০ মাইলের এ রাস্তা পার করতে অনেকটা পথ গাড়িতে যেতে হয়, তারপর ৪৫ মিনিট লাগে ফেরিতে পার হতে। ড্রোন প্রযুক্তির সাহায্যে মাত্র ১৫ মিনিটেই পারি দেওয়া সম্ভব হবে এ পথ। – খবর বিবিসি।
পরীক্ষামূলক এ যাত্রাটি সফল হলে আগামীতে চিকিৎসা টেস্ট নমুনা এবং অন্যান্য সরবরাহের জন্য ড্রোন কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রকল্পটিতে হাত মিলিয়েছে আরগায়েল অ্যান্ড ‘বিউট হেলথ অ্যান্ড সোশাল কেয়ার পার্টনারশিপ’, ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠান স্কাইপোর্ট এবং থালস গ্রুপ।
সাধারণত ড্রোনকে শুধু পাইলটের দৃষ্টিসীমার মধ্যে উড়ানোর জন্য অনুমতি মেলে। তবে এ প্রকল্পে বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
লর্ন এবং ওবেন ও মলের ‘আইল্যান্ডস ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল হসপিটাল’ এবং ক্রেইগনার এর আইওনা কমিউনিটি হাসপাতালের মধ্যে যাতায়াত করবে ড্রোনটি। আরগায়েল অ্যান্ড বিউট হেলথ অ্যান্ড সোশাল কেয়ার পার্টনারশিপের প্রধান কর্মকর্তা জোয়েনা ম্যাকডনাল্ড বলেছেন, “ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাকে উন্নত করার বাস্তব সুযোগ তৈরি হতে পারে এবং এটি আমাদের রোগীদের আরও দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারে”।
স্কাইপোর্টস প্রধান নির্বাহী ডানকান ওয়াকারও বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল সরবরাহের জন্য দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হচ্ছে ডেলিভারি ড্রোন।
আরগায়েল এবং বিউটে আমাদের পরীক্ষা বর্তমান মহামারি প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ স্বল্পমেয়াদী প্রতিক্রিয়া এবং এটি এমন একটি ভিত্তি স্থাপন করে দিচ্ছে যার মাধ্যমে দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো নেটওয়ার্কে স্থায়ী ড্রোনভিত্তিক সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে। জুনের ৫ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষাটি চলার কথা রয়েছে।