বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠান ডোম-ইনোর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকেরা। রাজধানীর বনানীতে ডোম-ইনো কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তাঁরা। জানা গেছে, ডোম-ইনোর ব্যবস্থপনা পরিচালক আব্দুস সালামের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে নিজের সম্পদের মালিকানা ফেরত পায়নি মালিকরা। সরকারের হস্তক্ষেপে দ্রুত জমি ও ফ্ল্যাটের মালিকানা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে এক ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ৬০ শতাংশ টাকা পরিশোধের পরও আমরা প্রতারনার শিকার হয়েছি। মালিকানা বুঝিয়ে না দিয়ে আব্দুস সালাম আমাদের টাকা নিয়ে আত্নগোপনে আছে। আমরা ডোম-ইনো থেকে মুক্তি চাই।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, কুখ্যাত, প্রতারক, ভণ্ড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম-ইনোর কাছ থেকে ফ্ল্যাট ক্রয় করে অথবা মহামূল্যবান নিজস্ব জমি চুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন করতে দিয়ে আজ আমরা এক মহাসংকটে পতিত হয়ে প্রায় পথে বসেছি। বছরের পর বছর, দশকের পর দশক পার হতে চলল, তবু তাদের কাজ শেষ করার কোনো লক্ষণ নেই। মিষ্টি কথায়, মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তারা আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ লুটে নিয়ে কোন খাতে ব্যয় করছে, তা আমাদের অজানা। কবে কোন প্রকল্পের কাজ শেষ করবে, বা আদৌ করবে কি না, সে সম্পর্কে তাদের কোনোই পরিকল্পনা নেই। এভাবে দিনের পর দিন চলতে পারে না। আইনি পথের রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা এবং এর ব্যয়ভার আমাদের অনেকেরই অর্থনৈতিক অবস্থার বিচারে বহন করা সম্ভব নয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে রিয়েল এস্টেট আইনটি একতরফাভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীবান্ধব আইনে পরিণত করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু সংস্কার ছাড়া আমাদের পক্ষে যথাযথ প্রতিকার পাওয়া অসম্ভব। পরিস্থিতি আমাদের একতাবদ্ধ হয়ে পথে নামতে বাধ্য করেছে।
শনিবার মানববন্ধনে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ গ্রহীতাদের জন্য ডোম-ইনোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা, দেশজুড়ে ডোম-ইনো এবং তার পরিচালনা পর্ষদের নামে-বেনামে যে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করা, ডোম-ইনো এবং তার পরিচালকদের সবার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিদের প্রতিষ্ঠান রিহ্যাব থেকে ডোম-ইনোকে বহিষ্কার এবং রিহ্যাবের সদস্যপদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা এবং ডোম-ইনোর ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩২ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি