নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে ২০ দিনেও উদঘাটন হয়নি আরিফ হত্যা রহস্য। নিখোঁজের ৭দিন পর আরিফ হোসেন (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে ও এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
গেলো ২৬ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধায় উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের বড়রাউতা মাঝাপাড়া এলাকার সাধুর আশ্রমের একটি সেচপাম্পের ঘর থেকে আরিফের লাশ উদ্ধার করে জেলার মর্গে পাঠায় ডোমার থানা পুলিশ। নিহত আরিফ হোসেন ডোমার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাজীপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।
নিহত ছাত্র আরিফের চাচাতো ভাই সোহাগ ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের ১৯ দিন ও নিখোঁজের ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এই হত্যার সাথে কাউকে গ্রেফতার বা আসামী শণাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এই হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতে মঙ্গলবার থেকে আরিফের পরিবার আমরন অনশন কর্মসুচী শুরু করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত ১৯ আগষ্ট শুক্রবার রাতে তার বাবার অটোরিক্সা নিয়ে সে বাড়ীর বাইরে বের হয়। সেই দিন রাত আটটার দিকে সে তার মা তফিনা বেগমকে ফোন দিয়ে বলেন সে অটোরিক্সায় যাত্রী নিয়ে সাকোয়ায় যাচ্ছে। এর পর থেকে তার মোবাইল ও তাকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছিলনা।
এ বিষয়ে তার বড়বোন ঝর্ণা আক্তার তার ভাইয়ের নিখোঁজের বিষয়ে ২০ আগষ্ট শনিবার রাতে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন যার নম্বর- ১০৩৪। পরিবারের লোকজন অনেক খুজাঁখুজির পর তাকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেছিলেন। এদিকে ২৬ আগষ্ট শুক্রবার সকালে জমিতে সার দিতে এসে এক কৃষক দেখতে পান বরেন্দ্র সেচপাম্পের ঘরের ভিতর থেকে বিকট দুর্ঘন্ধ বের হচ্ছিল। তিনি ঘরের কাছে গিয়ে দেখতে পান ঘরের ভিতর দুটি স্যান্ডেল পড়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ সিআইডিকে খবর জানালে তারা ঘটনাস্থল থেকে আরিফের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় নিহত আরিফের মুখ বিকৃতি হয়ে যাওয়ায় তার পরনের কাপর, হাতে থাকা ঘড়ি ও পায়ের সান্ডেল দেখে আরিফকে চিহিৃত করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী বলেন আরিফ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।