মোঃ মোশফিকুর ইসলাম, নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনমের কাছে ৪১ জন মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের কাছে মটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে হেরে যান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী। বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর তার অনুসারী কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও হিংসাত্মক কাজ করে চলেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে তারা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বর্জনের হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার বলেন, এর আগে কখনো তোফায়েল আহমেদকে রাজাকারের পরিবারের সদস্য কেউ বলে নাই। নুরননবী ভোটে হেরে যাওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সমশের আলী বলেন, যে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও ডোমারবাসী স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সফলভাবে পালন করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম বলেন, আমার কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দু’টি পক্ষ পৃথকভাবে লিখিত পত্র দিয়েছে। আমি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্রগুলো পাঠিয়ে দিয়েছি। উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আমি কাজ করবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদকে রাজাকার পরিবারের সদস্য দাবী করে স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত না করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন।