ডোমার উপজেলার উত্তর ভোগডাবুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৩টি পদে নিয়োগ বানিজ্য জমে উঠেছে।
স্থানীয়দের তোপের মুখে নির্ধারীত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে নীলফামারী জেলা শহরে নিয়ে গিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। চুড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-অফিস সহায়ক পদে জহিদুলের ছেলে শাহিন ইসলাম আয়া পদে আরমিনের স্ত্রী রুমি আক্তার পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে আব্দুল করিমের ছেলে শিমুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর ভোগডাবুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩টি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য গোপনে ৩ জনকে চুড়ান্ত করে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন চুপচাপ থাকার পর নিয়োগ পরীক্ষাটি গোপনে নীলফামারীতে নিয়ে যায় আই ওয়াসের জন্য।
স্থানীয়রা আরো বলেন, এক মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাবে তাই তিনি সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে শেষ সুযোগ নিতে এই পথ নিয়েছে। উল্লেখ্য ২৮-৭-২২ তারিখে এই ৩ পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।১১-৮-২২ তারিখে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। তবে কোন পেপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ কবে শেষ হয়েছে তা স্থানীয়রা কেউ জানেন না।
প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং বিদ্যালয় সংলগ্ন মুক্তিরহাটে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। মুক্তিরহাটের ব্যবসায়ী ও সুধী মহল বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত কোন প্রচার বা তথ্য স্থানীয়রা কেউ জানে না। তবে তাদের মনোনিত প্রার্থী ও প্রেকসি প্রার্থীদের গোপনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম বলেন, স্থানীয়দের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সহিত দেখা হবে।