ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনের ব্যবধানে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ২৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার চেয়ে বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। কিন্তু মৃত্যুর হার ঢাকায় বেশি। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীরা। তার উপর প্রতিদিনই ঢাকার বাইরে থেকে ডেঙ্গু রোগী আসছে। রোগীর এই বাড়তি চাপে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর ডাক্তার-নার্সরা এখন দিশেহারা।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, , গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটির ৯২০ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ১ হাজার ৩৭১ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ হাজার ২১৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
এখন পর্যন্ত চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৩৪৬ জন। মারা গেছেন ৫৬৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ৪১৭ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরের ১৫২ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু এখন আর বর্ষা মৌসুমের আতঙ্ক নয়। ফলে এর ভয়াবহতা বাড়ছে। এটি মোকাবিলায় দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর তৎপরতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ব্যাপকভাবে সচেতন হতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও মশা মারার দৃশ্যত কার্যকর কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার তিন ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করে মশা মারার মাধ্যমে সারা বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। এর বিপরীতে নার্স প্রয়োজন প্রায় দেড় লক্ষাধিক। কিন্তু নার্স আছে মাত্র ৫৮ হাজার। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মিডফোর্ট হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতালের কোথাও নতুন রোগী ভর্তি জায়গা নেই।
ডিবিএন/এসআর/ এমআরবাপ্পি