ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৩ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। নগর ভবনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সম্মেলন কক্ষে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন আজ এ বাজেট ঘোষণা করেন। এ অর্থবছরে নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে রেটস এন্ড ট্যাক্স বাবদ বকেয়াসহ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৫ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ডিএসসিসি’র বাজেট ছিল ৩ হাজার ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। গত বছরের সংশোধিত বাজেট ছিল ১ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। মেয়র তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নিজস্ব আয়ের অন্যতম খাত বাজার সেলামী। বাজার সেলামি বাবদ আয় ধরা হয়েছে ৩১৩ কোটি টাকা ও বাজার ভাড়া বাবদ ৩০ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৭০ কোটি টাকা, রিক্সার লাইসেন্স ফি বাবদ ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ ৬৫ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তা খনন ফি বাবদ ২৫ কোটি টাকা, অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা বাবদ ১০ কোটি ১ লাখ টাকা, বাস-ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৪ কোটি টাকা, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ৫ কোটি টাকা, শিশু পার্ক থেকে ৫ কোটি টাকা, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া বাবদ ২ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপন কর বাবদ ৩ কোটি টাকা, ক্ষতিপূরণ (অকট্রয়) বাবদ ১ কোটি টাকা এবং পেট্রোল পাম্প বাবদ ২ কোটি টাকা আয় হবে বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন। মেয়র জানান, সরকারি মঞ্জুরী (থোক) খাতে ৪০ কোটি ও সরকারি বিশেষ মঞ্জুরী (থোক) বাবদ ১৫০ কোটি টাকা এবং সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তামূলক প্রকল্প খাতে ১ হাজার ৯৩৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা সাহায্য হিসেবে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটের ব্যয়ের খাতগুলো উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, ব্যয়ের খাতগুলো হলোÑ বেতন ভাতা বাবদ ২৫০ কোটি টাকা, সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ১৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ/উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৩৭৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, জ্বালানি, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাবদ ৩০ কোটি টাকা, বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২৫ কোটি টাকা, অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য ২৫ কোটি টাকা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ ১০৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কবরস্থান, শশ্মান ঘাট সংস্কার ও উন্নয়ন খাতে ৯ কোটি টাকা, বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক খাতে ১০ কোটি টাকা, নাগারিক বিনোদনমূলক সুবিধা উন্নয়ন খাতে ১৭৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ১৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, সংস্থার চাঁদা বাবদ ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতে ১০ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন খাতে ৫১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ বাবদ ৯ কোটি টাকা, ল্যান্ডফিল রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন বাবদ ১৫০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন জানান। বাজেট ঘোষণার সময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলালসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। বাসস