ডিবিএন ডেস্কঃ সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশালীন বক্তব্য সম্বলিত ২৭২টি অডিও-ভিডিও লিঙ্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চিহ্নিত করেছে বিটিআরসি। তবে ফেসবুক ইতোমধ্যে বন্ধ করেছে ১৫টি।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে বিটিআরসির আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই রাকিব।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও লিঙ্ক ইউটিউবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১১৫টি। এর মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে ২টি। ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে অন্যান্য অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিটিআরসি।
গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আদালতে জানাতে বলা হয়। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে একই দিন সকালে ডা. মুরাদ হাসানের অশ্লীল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সুমন। আদালতে তিনি বলেন, জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অশ্লীল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অশ্লীল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।