ডিবিএন ডেস্কঃ ডা. মুরাদের অবস্থান নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। কোথায় আছে সে? বলতে পারছে না কেউ! বিশেষ করে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি কোথায় আছেন তাই এখন ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে।
কেউ বলছেন, কানাডার টরন্টো বিমানবন্দরেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কভিড নেগেটিভের সাম্প্রতিক সনদ তার সঙ্গে না থাকায় কানাডায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবার কেউ বলছেন, কানাডায় তাকে ঢুকতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি দেশে না ফিরে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। দুবাই থেকে শিগগির তিনি দেশেও ফিরতে পারেন।
অন্য একটি সুত্র বলছে, দুবাইয়ে অবস্থান করে তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে তার ঘনিষ্ঠ এবং সরকারের সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
তবে কোনো সূত্রই নিশ্চিত করে ডা. মুরাদের অবস্থান সম্পর্কে বলতে পারছে না।
এর আগে দুবাই থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে এমিরেটসের ফ্লাইটযোগে রওনা হয়ে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় টরন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছান মুরাদ। তাঁর কানাডায় প্রবেশ ঠেকাতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন কানাডা সরকারের কাছে অনলাইনে আবেদন করেছিল।
এদিকে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে দেশে আসার প্রস্তুতি নিয়েছেন ডা. মুরাদ। তিনি দুবাই থেকে দেশে ফিরছেন। তিনি দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে- এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান আসেননি।
উল্লেখ্য, ডা. মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য আছেন। কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, মুরাদ হাসানের কানাডা সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য তারা সরকারিভাবে পায়নি। আর ডা. মুরাদ হাসানের কূটনৈতিক পাসপোর্টে কানাডার দীর্ঘমেয়াদি ‘মাল্টিপল এন্ট্রি’ ভিসা আছে। ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি এটি পেয়েছিলেন।