ডা, জাফরউল্লাহ চৌধুরীকে একজন সাদা মনের মানুষ ভাবতাম। কিন্তু তার বক্তব্য শুনে মনেহয় তিনি সাদা নন, রঙিন। এই বয়সে অবশ্য মতিভ্রম হয়! বুড়ু মানুষ কখন মুখ ফসকে কি বলে ফেলেন তার গুরত্ব দেওয়া সঠিক নয়। কিন্তু এখন যে ভাবে যে ভাষায় জাফরউল্লাহ সাহেব কথা বলেছেন তা,অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। চৌধুরী সাহেব কোন দলের বোঝা না গেলেও তার বক্তব্য মিলে যায় একটি দলের সঙ্গে। তিনি ডাক্তার মানুষ অসুধের খবর ভলোই রাখেন।সরকার বেশী দামে নিম্নমানের ভেকসিন কিনেছে বলে গোস্বা করেছেন। প্রথম যখন দেশে ভেকসিন আনা হল তখন তিনিই প্রথম বলেছেন হাঁস মুরগীর ভেকসিন। মানুষকে নিরুৎসাহিত করেছেন ভেকসিন নিতে। ভেকসিন না নেওয়ায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার নিজেই সেই ভেকসিন নিয়ে ছবি পোষ্ট করেছেন গনমাধ্যমে। জেনে শুনে হাঁসমুরগীর ভেকসিন কেন নিলেন ব্যখ্যা দেননি। যে ভেকসিন তিনি নিজে গ্রহন করেছেন তা অন্যকে নিতে নিষেধ করলেন কেন? ডাক্তার সাহেব কি মানুষের মৃত্যু চেয়েছিলেন? লক ডাউন নিয়ে ডাক্তার সাহেবের গোস্বা হওয়ার কারনটি জানা যায়নি। তবে যেসব দেশ করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রন করেছে তারা লক ডাউন দিয়েই করেছে।
ডা, জাফরউল্লাহর কাছে বিকল্প উপায় থাকলে বলেন না কেন! যদি এর চেয়ে উত্তম কোন উপায় ডাক্তার সাহেবের জানা থাকে তাহলে আমরা সেটাই মেনে নিব। তার দাবী শেখ হাসিনা লক ডাউন দিয়ে জাতীর সঙ্গে প্রহসন করছে। কিন্তু তথ্য বলছে লক ডাউনের ফলে দেশে মৃতের হার কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও পরামর্শ দিচ্ছে দুরত্ব বজায় রাখতে। লক ডাউন ছাড়া সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার অন্য কোন উপায় নেই। তাহলে লক ডাউন নিয়ে ডা, জাফরউল্লাহদের এত মনকষ্ট কেন? জনগনকে সাহায্যের দ্বাবী করেছেন।কিন্তু সরকার ছাড়া তো কাউকে দেখা যায়নি জনগনের পাশে দাঁড়াতে! হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির লাশ আটকে রেখে বিল আদায় করেছে হাসপাতাল কর্তিপক্ষ। ডা. জাফরউল্লাহ তা নিয়ে কথা বলেননি কেন? বাড়ী বিক্রি করে স্বজনের লাশ নিতে হচ্ছে হাসপাতাল থেকে। তিনিও তো হাসপাতালের মালিক, কতজন করোনা রোগীকে সাহায্য করেছেন বলবেন কি?
আরও কিছু নেতা রয়েছে যারা জাতীয় দুর্যোগে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিত্য সরকারের পদত্যগ দাবী করছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কি করনে সরকারকে পদত্যগ করতে হবে? জনগনের সমর্থনে নির্বাচিত হতে পারেননি বলেই কি সরকারের পদত্যগ চান তারা? কথায় কথায় ভোট ডাকাতির কথা বলেন। দাবী করেন জনগন আপনাদের পক্ষে। একজন মানুষওত আপনাদের পক্ষে রাস্তায় নেমে এলো না! চেষ্টা করে একটা হরতাল সফল করতে পারছেননা। স্বাধীনতা নাই বলে চিৎকার করছেন। তাহলে এতসব কথা বলছেন কি ভাবে? সরকারকে হটিয়ে কাকে ক্ষমতায় বসাতে চান? বিষয়টি পরিস্কার করুন। আর রাজনীতি করতে চাইলে ঘোষনা দিয়ে রাস্তায় নামুন। আতেল সেজে শুধুই যারা অভিযোগ করে তারা কাজ করেনা – সুবিধা নেয়। মানুষ দেশের উন্নয়ন চায়। সরকার উন্নয়ন করে দেখিয়েছে তাই, জনগন এখন শেখ হাসিনার পক্ষে। যতই চিৎকার করুন জনগন আপনাদের পক্ষে রায় দেয়নি।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।