ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাগে বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। আজকের সময়ে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যা আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণকে খুব বেশি প্রভাবিত করবে না।
জাম প্রধানত গ্রীষ্মকালীন ফল। টক মিষ্টি সুস্বাদু এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। কবিরাজী চিকিৎসায় এর কিছু ব্যবহার আছে। হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁতের সমস্যা-সহ বিভিন্ন রোগে জামের বীজ, ছাল ও পাতা ব্যবহৃত হয়। জাম থেকে মদ ও ভিনিগার তৈরি করা যায়। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে।
জাম ফল ও বীজ উভয়েই এই গুণগুলি রয়েছে। আয়ুর্বেদের ঔষুধি হিসেবে ডায়াবেটিস রোগে কীভাবে জামের বীজ ব্যবহার করবেন, জেনে নেওয়া যাক।
- প্রথমেই জামের বীজ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
- এরপর এক সপ্তাহ রোদে খুব ভালো করে শুকিয়ে নিন।
- বীজের খোসা ছাড়িয়ে সবুজ অংশ বের করে নিন।
- সবুজ অংশগুলি ভেঙ্গে আবারও রোদে ৩ থেকে ৪ দিন শুকিয়ে নিন।
- এরপর মিক্সিতে খুব ভালো করে গুঁড়ো করে নিন।
- গুঁড়ো করার পর চালনিতে চেলে তার থেকে বড় দানাগুলো বেড় করে নিন।
- এরপর একটি এয়ারটাইট কন্টেনারে এই গুড়ো সংরক্ষণ করুন।
- একগ্লাস জলে এক চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন।
আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস। আয়ুর্বেদশাস্ত্রের মতে, জাম রয়েছে অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া জামে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জামের বীজ। জাম ফলের মত গুরুত্বপূর্ণ এই ফলের বীজও। জামের বীজে রয়েছে প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জামের বীজ রাখা দরকার। এছাড়া জাম ও তার বীজে রয়েছে জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ যা রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে।