২০১০ সালের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৎপর হতে দেখা গেল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে। ডাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল করে সংগঠনটি। ৭ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয় সংগঠনটি।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই হবে নির্বাচন। ছাত্রলীগসহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলোও বলছে, নির্বাচন পেছানোর পক্ষে নন তারা।
৯ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের তৎপরতা। সবশেষ ২০১০ সালে তৎকালীন সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এসে হামলার শিকার হয় নেতা-কর্মীরা। তবে এবার অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।
উপাচার্যের কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে ডাকসু নির্বাচন ৩ মাস পেছানো সহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদক বলেন, ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান যেটি বর্তমানে নেই, ন্যূনতম তিনমাস ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করার অধিকার নিশ্চিত হওয়ার পরেই ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি আমরা।
স্মারকলিপি দেয়ার পর ক্যাম্পাসে মিছিল করে বিএনপির ছাত্র সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ডাকসুর জন্য নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র আছে এবং একটা আচরণবিধি প্রণীত হয়েছে। গঠনতন্ত্রের আচরণবিধি সব শিক্ষার্থীর জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
ছাত্রদলের দাবির বিরোধিতা করেছে ছাত্রলীগ। নির্বাচন পেছানোর দাবির সঙ্গে একমত না হলেও ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে আনা ও সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছে বাম ছাত্রসংগঠনগুলো।
ঢাবির ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, তারা মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কিন্তু তাতে বাধা দেয় নাই। ছাত্রদল এতদিন অনেক কথা বলেছে, আসলে তারা কিন্তু সাহস পায়নি।
দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।