পাশাপাশি ছবিগুলো রাখলে কিঞ্চিৎ দ্বিধায় পড়তে পারেন যে কেউ। ঠিক কাকে দেখা যাচ্ছে, মহানায়িকা সুচিত্রা সেন, নাকি তার নাতনি রাইমা সেন! ভক্তদের এমনই মধুর যন্ত্রণায় ফেলে দিলেন টলিউড অভিনেত্রী রাইমা। কারণ তিনি তার নানি অর্থাৎ সুচিত্রা সেনের অবিকল সাজ নিয়ে নতুন ফটোশুট করেছেন।
পরনে বেনারসী শাড়ি ৷ পাড় দেওয়া সেমি হাতা ব্লাউজ ৷ গলায়-কানে সোনার পুরনো দিনের ডিজাইনার গয়না ৷ মাথায় টিকলি, কপালে ছোট ছোট চন্দনের ফোঁটা ৷ সাদা-কালো ছবি দেখলে মনে হচ্ছে শান্ত মেয়ে হয়ে ঠিক যেন বসে আছেন সুচিত্রা সেন ৷ বাংলার মহানায়িকাকে অন্যরূপে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁরই বড় নাতনি রাইমা সেন ৷
বাংলা ছবির আইকন তিনি ৷ যাঁর সৌন্দর্য ও অভিনয়ে আজও মুগ্ধ আবালবৃদ্ধবনিতা ৷ বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে অন্যরকমভাবে শ্রদ্ধা জানালেন বড় নাতনি রাইমা সেন ৷ সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে দেখে অনুরাগীরা অভিভূত ৷ সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য, “হারানো সুর-এর সুচিত্রা সেনের মতো লাগছে ৷”
রবিবার সোশাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী রাইমা সেনের রিক্রিয়েট ছবি নস্ট্যালজিক করে তুলেছে সকলকে ৷ এদিন রাইমার নতুন কনের বেশে অনেকগুলি ছবি শেয়ার করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ ৷ ক্যাপশনে লিখেছেন, “সুচিত্রা সেন-নিজেকে অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ভারতীয় সিনেমার আঙিনায় ৷ তিনি এমন এক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক, যার ধারে কাছে কেউ পৌঁছতে পারবেন না ৷”
তিনি আরও বলেন, “বাঁকা ভ্রুয়ের তীক্ষ্ণ চাহনির সাহায্যে তিনি একই সঙ্গে চিরাচরিত এবং আধুনিক রূপ তুলে ধরতে পারতেন ৷ আসলে তাঁর ‘টাইমলেস বিউটি’ অনুপ্রাণিত করে সকলকে ৷ তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম সেই ধারাকেই বয়ে নিয়ে চলেছে ৷” ফটোশুটের পুরো ভাবনা মেকআপ আর্টিস্ট প্রসেনজিতের ৷ ছবি তুলেছেন প্রসেজিৎ বিশ্বাস ৷ স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায় ৷
প্রসেনজিৎ বিশ্বাস টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘সুচিত্রা সেনকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করি। তার ছবি দেখেই বড় হয়েছি। বরাবরই আক্ষেপ ছিল, তাকে কখনও সাজানোর সুযোগ পাইনি। সম্প্রতি মাথায় এলো, তার নাতনির মাধ্যমে তাকে পুনরায় স্মরণ করি। এটা সুচিত্রা সেনের কালজয়ী কিছু চরিত্রকে রিক্রিয়েট করার বিনম্র প্রচেষ্টা বলা যায়।’
১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিমল রায় পরিচালিত সিনেমা ‘দেবদাস’। সেই ছবিতে পারুর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। ওই ছবির বিয়ের সাজটি নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন রাইমা। তাকে এমন রূপে দেখে ভক্তরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রশংসা করছেন সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরাও।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম