ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সাত বছরের সন্তানকে জিম্মি করে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। থানায় অভিযোগ করায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশ্ববর্তী হরিপুর উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া গ্রামের এক নারী হরিপুর বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা গ্রামে স্বামীর বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই নারী ঘটনার দিন শনিবার ২০ (আগস্ট) রাতেই বাদী হয়ে ৫ জনের নামে হরিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
থানা সুত্রমতে মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা হাটপুকুর গ্রামের সলেমান আলীর ছেলে ফজলুর রহমান(২০), একই এলাকার করিমুল ইসলামের ছেলে রিসাত(১৯), ও শাহজাহান আলীর ছেলে আকাশ (১৯)। তদন্তের স্বার্থে বাকি দুইজনের নাম জানা যায়নি।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দক্ষিণ পাড়িয়া এলাকার ওই নারী দুই সন্তানের জননী।
গতকাল শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই নারী রুহিয়া চাপধা এলাকায় স্বামীর বন্ধুর বাড়ি থেকে সন্তান মাসুম আলীকে সাথে নিয়ে রাণীশংকৈলে বোনের বাড়িতে অটোযোগে যাওয়ার পথে আনুমানিক বিকাল সাড়ে চারটায় উপজেলার কামারপুকুর অটো স্ট্যান্ড হতে অটো চালকের যোগসাজশে ওই নারীকে অপহরণ করে, বকুয়া ইউনিয়নের চাপধা বাজারের পূর্ব উত্তর পাশে আনোয়ার মাস্টারের আম বাগানের ভিতরে নিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা এরপর ছেলে মাসুমের গলায় ছুঁড়ি ধরে জিম্মি করে বিবস্ত্র করে ফেলে নারীকে গণধর্ষণ করেন ।
আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার সময় ধর্ষকরা ওই নারীকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় লোকজন ধর্ষক ফজলুর রহমানকে আটক করে ৯৯৯ ফোন দেয়। ফজলুর রহমান ও ভিকটিমের ভাষ্যমতে হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে আরো দুই ধর্ষক রিসাত ও আকাশকে আটক করে। এর পর ওই নারী হরিপুর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে শনিবার ২০ আগস্ট বিকালে হরিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অটোচালকসহ ৫ জন আসামীর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেলা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।