হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে পরিচয় গোপন করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আড়ালে ভুয়া এলোপ্যাথি চিকিৎসা দেয়াসহ রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে মোহাম্মদ রিপন নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে ভ্রাম্যমান আদালত বিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভুগিদের অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড এলাকার এস এ টাওয়ারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান পরিচালনা করে তাঁঁকে এ জরিমানা করেন। এসময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
পুলিশ জানায়, গত কয়েক বছর ধরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আড়ালে রিপন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের এসএ টাওয়ারে সদৃশ্য ফার্মেসী এন্ড কনসালটেন্ট সেন্টার, রানীশংকৈল উপজেলার মাহফুজ মেডিসিন স্টোর, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জে সদৃশ কনসালটেন্ট সেন্টার ও পঞ্চগড় জেলায় সদৃশ কনসালটেন্ট সেন্টার নামে চারটি স্থানে চেম্বারে রোগী দেখার নামে নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি একজন হেমিওপ্যাথি চিকিৎসক হয়ে ব্যবস্থাপত্রে এলোপ্যাথি চিকিৎসকের ঔষধের নাম ব্যবহার করছিলেন। এরপর থেকে তিনি কোন স্থানে হোমিও চিকিৎসা ছাড়া অন্যকোন চিকিৎসা সেবা দিতে পারবেন না মর্মেও আদালতে স্বীকারোক্তি দেন।
এছাড়া তার প্রতিটি সাইনবোর্ডে বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে হোমিও চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে চিকিৎসা দিবেন, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে সর্তক করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে তিনি হোমিও চিকিৎসক হয়ে এলোপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে প্রতারনার করছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সে তার অপরাধ স্বীকার করায় তাকে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তিনি সবকিছু সংশোধন না করে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
