হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে পবিত্র রমজানের প্রায় শেষের দিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠছে জমজমাট ঈদের বাজার। প্রতিদিন শহরের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন শহরের দোকানগুলোতে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে দোকানগুলোতে। বিশেষ করে গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকান) গুলোতে ভীড় বেশি। পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি, প্যান্টের দোকানসহ বিভিন্ন পন্যের দোকানেও রয়েছে আলাদা ভীড়।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সারাদিন ঘুরে শহরের নর্থ সার্কুলার রোডের ঘোমটা-২ তে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় ক্রেতা সমাগম হতে শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্রেতা, শাড়ি, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, উড়না, প্যান্ট পিস, সার্ট পিস ইত্যাদি বেশি কিনছেন। তবে বেশিরভাগ ক্রেতার অভিযোগ দাম একটু বেশি। মিজান এন্ড ব্রাদার্স নামে দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পন্যের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে পন্য। ক্রেতারা সেখানেও ভীড় জমিয়েছেন তাদের প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করার জন্য।
ঈদের জন্য জামা কিনতে আসা পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার গৃহিনী মৌসুমী জামান, ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও তিনি আগে ভাগেই এসেছেন, দাম কম পাওয়ার আশায়। তিনি তার কন্যাশিশুর জন্য নতুন জামা ও ভাগনির জন্য থ্রি-পিস কিনতে এসেছেন। তবে তিনি বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে অভিযোগ করেন, দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলার নারগুন সেন্টারহাট এলাকার গৃহিনী রুমি আক্তার জানান, পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলায় যে থ্রি-পিস ১ হাজার ৫শ থেকে ৬শ টকায় পাওয়া যায় এখানে ৩ হাজার ৫শ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের কাপড়ের দিনাজপুরের চেয়ে দামের ব্যাবধান অনেক। এ কারনে মানুষ কাপড় কিনছেন কম। তবে কি আর করার দিনাজপুরে বা অন্যত্র যাওয়া বাড়তি ঝামেলা।
নর্থ সাকুলার সড়কের ঘোমটা-২ এর পরিচালক জনি জানান, দিন যত বাড়ছে ক্রেতার সমাগম তত বাড়ছে। তবে অনেকেই পন্যের দাম কম পাওয়ার আশায় আগে ভাগেই মার্কেটে এসেছেন। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাম বেশির ব্যাপারে তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পোষাকে দাম সামান্য বেশি মনে হতে পারে। তবে ক্রেতা সমাগম ঘটছে প্রচুর। এ বছর টি-শার্ট, সুতি পাঞ্জাবী, জিন্সের প্যান্ট, শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এর মধ্যে মেয়েদের জারারা, গ্রাউন, লাহিঙ্গা, ডালিসহ বিভিন্ন নামের পোষাকের চাহিদা রয়েছে বেশি।