ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন সপিংমল ও বিপণি বিতানগুলোতে গত সোমবার ৩ মে ক্রেতার অনেক ভিড় লক্ষ করা গেছে। দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি নিষেধ মানছেন না ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এতে চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এবং সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে মায়ের কোলে মার্কেটে আসা নবজাতক শিশু ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। এদিন দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতান গুলোতে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় প্রায় বেশিরভাগ মানুষজনই তাদের নবজাতক ও ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে মাস্ক বিহীন কেনাকাটা করছেন। এতে করে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই। ক্রেতারা একে অপরের গা ঘেষাঘেষি করে ঈদের কেনাকাটা করছেন।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়ায় ইফতারের আগেই কেনাকাটা সাড়তে হচ্ছে। এজন্যই সকলেই একটি নির্দিষ্ট সময়ে কেনাকাটা করতে আসায় জনসমাগম বেশি হচ্ছে। ক্রেতারা আরও বলেন গত ঈদে করোনার কারণে বাচ্চাদের কিছুই দেয়া হয়নি।
এবারও যদি কিছু না দেয়া হয় তাহলে এ ঈদে তাদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। তাই সন্তানদের কথা ভেবেই তারা ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা সাড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে বিক্রেতারা জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বেচা-বিক্রি করছি। কিন্তু দু একটি বিপণিবিতান ছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই কর্মচারীদের মুখে মাস্ক চোখে পড়েনি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দোকার-পাট ও বিপণিবিতান গুলো মনিটরিং করছি। আমাদের অভিযান চলাকালে ক্রেতা- বিক্রেতা সকলেই সর্তক হয়ে যায়। এছাড়াও যাদের মুখে মাস্ক নেই এবং যারা সরকারি বিধি নিষেধ মানেনা তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই অদৃশ্য শক্তিকে রুখতে হলে নিজেদেরকেই আরও বেশি সচেতন হতে হবে। তবে ঈদকে সামনে রেখে আমাদের মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে।”