হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলায় এ বছর আগাম ধান কাটা শুরু হয়েছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা অনেক খুশি। প্রতিবছর সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কৃষকেরা ঘরে তুলেন। কিন্তু এবার অনেক কৃষক বিভিন্ন হাইব্রীড জাতের আমন ধান আবাদ করেছেন। এরই মধ্যে সেসব ক্ষেতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন পোকাড় আক্রমণ আর নানা রোগবালাই, বন্যা এবং ঘনঘন বৃষ্টিপাতের পরেও আমনের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন বলে ১২ নভেম্ববর বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের কাছে এসব তথ্য জানা যায়।
বর্তমানে ধানের মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখ ভরা হাসি নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত এ উপজেলার কৃষকেরা। প্রতিবস্তা ধান ২০০০- ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর আমন মৌসুমে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালের ধান হাইব্রিড ও উপসি ধান। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে মোট আবাদের শতকরা ৫ ভাগ। উপজেলার কুমোরিয়া, গৌরকই, দূর্লুভপুর, পকম্বা, গন্ডাবাড়ি ও বনগাঁও গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, এ মৌসুমে জমিতে বিনা- ৭ ও হাইব্রিড-৩৩ জাতের ধান চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৩ মণ ফলন হচ্ছে। একই জমিতে এ ধান গত বছর ফলন ও দাম দুটোই কম ছিল। এ বছর ফলন কিছুটা বেশি, এবং দামও বেশি। প্রতি বস্তা ২ হাজার থেকে ২২ শত টাকায় বিক্রি করতে পারছি।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান, “আমরা কৃষি অধিদপ্তর প্রান্তিক সকল কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে সু পরামর্শ প্রদান করেছি। বৈরী আবহাওয়ার সাথে মোকাবেলা করেই কৃষকেরা ভাল ফলন পাচ্ছেন এবং বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি। তাই তারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।”