হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১৪ টি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সিন্দুরপিন্ডি ধাম মন্দির থেকে আটোয়ারির যাওয়ার রাস্তায় প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত যতগুলো দেব-দেবির মূর্তি আছে সব মূর্তি এলোমেলো ভাবে ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছে মন্দির পরিচালনা কমিটি।
পাড়িয়া ইউনিয়নের জাউনিয়া কলেজপাড়া, চাড়োল সাবাজপুর পশ্চিমনাথপাড়া, ও ধনতলা ইউনিয়নে সিন্দুরপিন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে উপজেলার প্রত্যেকটি মন্দিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেই ভাংচুর করা প্রতিমাগুলো দেখতে মানুষজন ভিড় করছে।
ধনতলা ইউনিয়নের পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সিন্দুরপিন্ডি মন্দির কমিটির সভাপতি জোতিময় সিংহ বলেন, ‘প্রায় অর্ধশত বছর ধরে আমরা মন্দিরে পূজা করে আসছি। কোনো দিন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আজ ভোর রাতে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
চাড়োল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু বলেন, ‘কে বা কারা রাতে রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। সকালে মন্দির কমিটির লোকজন খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনকে জানাই।
খবর পেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার, উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার কাছে মনে হয়েছে ঘটনাটি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। বাংলাদেশে বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনাটি কে করেছে বা কারা করেছে; এজন্য আমরা অবশ্যই মামলা নেবো; সেই সঙ্গে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সচেতনতা মূলক কাজ করা হবে।