মহামারি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের টুইট করার উপরে ১২ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে তিনি কোনও টুইট করতে পারবেন না।
এদিকে, টুইটার কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প পুত্র। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের মুখপাত্র অ্যান্ডি সুরাবিয়ান ‘বিবিসি’কে বলেছেন, ‘টুইটার কর্তৃপক্ষ নিজেদের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গত কয়েক মাস ধরেই অবশ্য টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। কিছুদিন আগেই অসত্য প্রচারের জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠা ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের উপরে সত্যতা যাচাই (টু-ইটার কতফ্যাক্ট-চেক) ট্যাগ সাঁটিয়ে দিয়েছিল টুইটার কর্তৃপক্ষ। এমনকি একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংসও ডিলিট করে দিয়েছিল। বিশ্বের কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের টুইটার হ্যান্ডেলে সত্যতা যাচাইয়ে্বর ট্যাগ প্রথমবারের জন্য সাঁটানো হয়েছিল। টুইটার কর্তৃপক্ষকে তখন দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তাতে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হঠেনি টুইটার কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু আচমকাই ট্রাম্পের বড় ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তায় কেন হাঁটল টুইটার কর্তৃপক্ষ?
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র করোনার চিকিৎসায় অকার্যকর বলে প্রমাণিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিষিদ্ধ ম্যালরিয়া নিরোধী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপকারিতা নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। বাবার মতোই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। আর এমন অসত্য ও মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচারে রাশ টেনেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
‘বিবিসি’কে টুইটারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র যে ভিডিও বার্তাটি পোস্ট করেছিলেন তা কোভিড-১৯ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াবে। বহু মানুষ বিভ্রান্ত হবেন। তাই করোনা নিয়ে মিথ্যা ছড়ানো রুখতে যে নীতি নেওয়া হয়েছে, সেই নীতি অনুযায়ী ট্রাম্প পুত্রের টুইটের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’