ভারতের রুপির বিপরীতে ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে টাকা। এর ফলে দেশটি থেকে আমদানি করা পণ্যের খরচ কমছে। তবে এই সুযোগে দেশে ভারতীয় পণ্যের অবাধ আমদানি শুরু হলে স্থানীয় পণ্যের বিকাশ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, বিনিময় মূল্যের এই অবস্থান, রপ্তানি খাতকে নতুন করে প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে। বর্তমানে ভারতের ১০০ রূপি কিনতে খরচ হচ্ছে ১১০ টাকা। যা মাস খানেক আগেও ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে। টাকার এই শক্ত অবস্থানের কারণ রুপির মানের অধপতন। কিন্তু আগাম বার্তা ছাড়াই কেন কমছে রুপির দর? পরিসংখ্যান বলছে, গেল এক বছরে ডলারের বিপরীতে রূপির দর কমেছে সাড়ে ১৩ ভাগ। আর টাকার দর মাত্র এক ভাগ। যা বড় সুবিধা এনে দিয়েছে আমদানি বাণিজ্যে। কেননা বছরে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য আসে ভারত থেকে। শুধু আমদানি নয়, বড় অংকের বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য আছে ভারতের সঙ্গে। গেল এক বছরে দেশটিতে কেবল তৈরি পোশাকে রপ্তানি বেড়েছে, প্রায় ১২৫ ভাগ। ভারতে খাদ্য পণ্যের বড় বাজারও দখল করে আছে বাংলাদেশী পণ্য। যার পরিমাণ এখনো প্রায় ৯০ কোটি ডলার। এর বাইরে ভারতের পর্যটনের বড় অংশ দখল করে আছে বাংলাদেশ। গত বছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেছে। আর টাকার বিপরীতে রুপির এই পতন সেই ভ্রমণকে আগের থেকে সাশ্রয়ী করছে।